আসসালামু আলাইকুম সুপ্রিম পাঠক। আজকের আলোচনা তাদের জন্য যারা ১০ মেয়াদি ই-পাসপোর্ট করতে চাচ্ছেন এবং ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাচ্ছেন। ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট সম্পর্কিত আজ বিস্তারিত আলোচনা করব। যেমন: ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট ফরম,১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট ফি,১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট আবেদন,বাংলাদেশ বিশ্বের কততম দেশ হিসেবে ই-পাসপোর্ট চালু হয়? ই-পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে? ই-পাসপোর্ট চেক? ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট করার নিয়ম, ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট কারা পাবেন, ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট কারা পাবেন না এবং ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট না পাওয়ার কারণ কি ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করা হবে।
আরো পড়ুন:- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা ২০২৩-২৪
১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট কারা পাবেন
বাংলাদেশে বর্রমানে ৪ ধরনের ই – পাসপোর্ট চালু রয়েছে:-
- ৫ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট ৪৮ পৃষ্ঠা।
- ৫ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট ৬৪ পৃষ্ঠা।
- ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট ৪৮ পৃষ্ঠা।
- ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট ৬৪ পৃষ্ঠা।
১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট পাওয়ার জন্য ১৮ বছরের উপরে এবং ৬৫ বছরের নিচে বয়স হতে হবে। যাদের বয়স ১৮ বছরের বেশি এবং ৬৫ বছরের কম কেবল তারাই ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট পাবেন। এবং যাদের বয়স ১৮ বছরের নিচে এবং ৬৫ বছরের বেশি তারা ৫ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট করতে পারবে। আর যেকোনো ই পাসপোর্ট করার জন্য অবশ্যই বাংলাদেশী নাগরিক হতে হবে। যারা ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট পাওয়ার যোগ্য তারা যেকোনো মেয়াদে ই পাসপোর্ট করতে পারবে। যেমন: একজন ব্যক্তির বয়স ১৮ বছরের বেশি এবং ৬৫ বছরের কম, তিনি ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট পাওয়ার যোগ্য। কিন্তু ঐ ব্যক্তি চাচ্ছে ৫ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট করতে, তিনি ৫ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট পাওয়ার যোগ্য বলে গণ্য হবে।
১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট যারা পাবেন না
যার বয়স ১৮ বছরের কম এবং ৬৫ বছরের বেশি তিনি ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট পাবেন না। আবার যিনি সরকারি চাকরি জীবী এবং কোনো সরকারি চাকরি জীবীর উপর নির্ভরশীল তিনিও ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট পাবেন না। এনাদের ৫ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট করতে হবে।
১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট না পাওয়ার কারণ
১৮ বছরের কম বয়সী এবং ৬৫ বছরের বেশি বয়সী ব্যক্তি ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট না পাওয়ার অনেক গুলো কারণ রয়েছে। তবে তারমধ্যে অন্যতম কারণ হচ্ছে শারীরিক পরিবর্তন ও ছবি। ১৮ বছরের কম বয়সী শিশুদের শারীরিক পরিবর্তন অনেক দ্রুত ঘটে থাকে। তাদের যদি ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট দেওয়া হয়, ১০ বছর পরে তাদের চেহারার সাথে ই পাসপোর্টে থাকা ছবির কোনো মিল পাওয়া যাবে না।
আরো পড়ুন:- মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা ২০২৩-২৪
১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে?
- জন্ম নিবন্ধন সনদ।
- জাতীয় পরিচয় পত্র।
- পিতামাতার জাতীয় পরিচয় পত্র।
- পাসপোর্ট আবেদন অনলাইন কপি।
- পাসপোর্ট ফি প্রদানের রশিদ কপি।
১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট ফি
১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট ফি মুলত নির্ভর করে আপনি কত পৃষ্ঠার ই পাসপোর্ট নিবেন এবং কত দ্রুত ডেলিভারি নিবেন। ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট ফি নির্ভর করে ডেলিভারি সময় এবং পৃষ্ঠার উপর।
১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট ৪৮ পৃষ্ঠার ফি
১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট ৪৮ পৃষ্ঠার সাধারণ ভেলিভারি তে ফি ৫,৭৫০ টাকা, জরুরি ডেলিভারিতে ফ্রি ৮,০৫০ টাকা এবং অতি জরুরি ডেলিভারিতে ফি ১০৩৫০ টাকা।
১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট ৬৪ পৃষ্ঠার ফি
১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট ৪৮ পৃষ্ঠার সাধারণ ভেলিভারি তে ফি ৮,০৫০ টাকা, জরুরি ডেলিভারিতে ফ্রি ১০,৩৫০ টাকা এবং অতি জরুরি ডেলিভারিতে ফি ১৩,৮০০ টাকা।
১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট ডেলিভারি কত দিনে পাওয়া যায়?
১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট সাধারণ ডেলিভারি সময় ১৫-২১ দিন, জরুরি ডেলিভারি সময় ৭-১০ দিন এবং অতি জরুরি ডেলিভারি সময় সর্বোচ্চ ২ দিন।
১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট সম্পর্কিত আরো কিছু প্রশ্ন ও উত্তর
১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট কারা পাবেন না?
উত্তর: যাদের বয়স ১৮ বছরের কম এবং ৬৫ বছরের বেশি এবং যারা সরকারি চাকরি জীবী বা সরকারি চাকরি জীবীর উপর নির্ভরশীল।
বাংলাদেশ বিশ্বের কততম দেশ হিসেবে ই-পাসপোর্ট চালু হয়?
উত্তর: বাংলাদেশ বিশ্বে ১১৯ তম দেশ হিসেবে ই-পাসপোর্ট চালু করে।
যাদের বয়স ১৮ বছরের বেশি এবং ৬৫ বছরের কম তারা কি ৫ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট করতে পারবে?
উত্তর: হ্যা, যাদের বয়স ১৮ বছরের বেশি এবং ৬৫ বছরের কম তারা ৫ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট করতে পারবে।