সুচনা
আসসালামু আলাইকুম সুপ্রিম পাঠক। আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় “তাহাজ্জুদ নামাজ”। প্রত্যেক মুসলিম ব্যক্তির জন্য ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা ফরজ। ৫ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের পাশাপাশি আরো কিছু নামাজ রয়েছে, যা আদায় করলে অধিক পরিমাণে সওয়াব লাভ করা যায়। তার মধ্যে অন্যতম একটি নামাজ ” তাহাজ্জুদ নামাজ”। আপনি যদি তাহাজ্জুদ নামাজ সম্পর্কে জানতে এই ওয়েবসাইটে এসে থাকেন, তাহলে বলব, আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। আজকের আলোচনায় তাহাজ্জুদ নামাজ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। আজকের আলোচনার পর আশা করি তাহাজ্জুদ নামাজ সম্পর্কে আর কোনো প্রশ্ন থাকবে না। আজ আলোচনায় যা যা থাকবে :- তাহাজ্জুদ নামাজ কত রাকাত ও নিয়ত, তাহাজ্জুদ নামাজের সময়,তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম,মহিলাদের তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার নিয়ম,তাহাজ্জুদ নামাজের পর আমল,তাহাজ্জুদ নামাজ নফল না সুন্নত,তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত বাংলায় ও তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত ইত্যাদি বিষয়।
তাহাজ্জুদ নামাজ কি?
তাহাজ্জুদ একটি আরবি শব্দ। তাহাজ্জুদ শব্দের তথ্য ঘুম থেকে জাগা। তাহাজ্জুদ নামাজ বা রাতের নামাজ একরি নফল এবাদত। ফরজ নামাজের পর অন্যান্য নামাজগুলোর (যেমন: নফল ও সুন্নত) মধ্যে তাহাজ্জুদ নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত সবচেয়ে বেশি। ৫ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ হওয়ার আগে নবীজি (সা:) এর উপর তাহাজ্জুদ নামাজ অবশ্যই পালনীয় ছিল। তাই নবীজি (সা:) কখনো তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া বাদ দেননি।
নবী করিব (সা:) তাহাজ্জুদ নামাজ তার উম্মতের জন্য সুন্নাতে গায়রে মুয়াক্কাদা করে দিয়েছেন। তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করার ফলে অশেষ সওয়াব লাভ করা যায়। তবে না পড়লেও কোনো গুন্নাহ হবে না।
তাহাজ্জুদ নামাজের সময়
তাহাজ্জুদ নামাজ অর্থ রাতের নামাজ। নামজের নামের অর্থ থেকেই বোঝার বাকি থাকে না যে, তাহাজ্জুদ নামাজ রাতের। তাহাজ্জুদ নামাজ রাতের শেষ তৃতীয়াংশে পড়া উত্তম। তবে ঘুম থেকে উঠতে না পারার ভয় থাকলে , এশার ফরজ নামাজের পর, বেতর নামাজের আগে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করা জায়েজ আছে। মুলত তাহাজ্জুদ নামাজের সময় রাত ২ থেকে শুরু হয়ে ফজরের নামাজের আগ পযন্ত থাকে। তাহাজ্জুদ নামাজ গভীর রাতে আদায় করা অধিক উত্তম।
তাহাজ্জুদ নামাজ কয় রাকাত
তাহাজ্জুদ নামাজ সর্বনিম্ন ২ রাকাত ও সর্বোচ্চ ১২ রাকাত। তবে ১২ রাকাতের বেশি পড়ার অনুমতিও আছে। তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার নিয়ম হচ্ছে ২ রাকাত ২ রাকাত করে যতটা সম্ভব কেরাত, রুকু ও সেজদা লম্বা করে পড়া। তাহাজ্জুদ নামাজে কেরাত উঁচু বা নিচু আওয়াজে পড়া জায়েজ আছে। তবে কারো কষ্টের কারণ হলে নিচু আওয়াজে কেরাত পড়া কর্তব্য। রমজান মাস ব্যতীত অন্য সময়ে মাঝে মাঝে জামাতে পড়ার বিধান আছে, তবে নিয়মিত না।
তাহাজ্জুদ নামাজের বাংলা নিয়ত
তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম
- বিসমিল্লাহ সহ নিয়ত করা।
- তাকবিরে তাহারিমা (আল্লাহু আকবর) বলে হাত বাধা।
- ছানা পড়া।
- সুরা ফাতেমা পড়া ও সুরা মিলানো।
- তারপর অন্যান্য নামাজের মত রুকু, সেজদা করা।
- অত:পর দুই রাকাত আদায় করে তাশাহহুদ, দরুদ ও দোয়া মাসুরা পড়ে সালাম ফেরানো।