মাগরিবের নামাজ কত রাকাত ও কি কি

সুচনা 

আসসালামু আলাইকুম সুপ্রিম পাঠক।  আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় “মাগরিবের নামাজ”। মুসলিম বিশ্বের জন্য ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা ফরজ।  এই ক্ষণস্থায়ী দুনিয়ার কোনো কিছুই আমাদের সঙ্গী হবে না।  আমাদের পরকালের একমাত্র পুজি আমাদের আমল।  আপনি যদি ” মাগরিবের নামাজ” সম্পর্কে জানতে আমাদের ওয়েবসাইটে এসে থাকেন, তাহলে আমি বলব, আপনি সঠিক জায়গাশ এসেছেন।  আজ মাগরিবের নামাজ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব ইনশাল্লাহ।  আলোচনায় যা যা থাকবে: মাগরিবের নামাজ কত রাকাত ও কি কি, মাগরিবের তিন রাকাত ফরজ নামাজের নিয়ত,মাগরিবের দুই রাকাত সুন্নত নামাজের নিয়ত, মাগরিবের নামাজ পড়ার নিয়ম,মাগরিবের নামাজের ফজিলত ও মাগরিবের নামাজের সময় ইত্যাদি বিষয়। 

মাগরিবের নামাজ কত রাকাত ও কি কি


মাগরিবের নামাজ কত রাকাত ও কি কি

তিন রাকাত ফরজ নামাজ, ২ রাকাত সুন্নত নামাজ এবং ২ রাকাত নফল নামাজ সহ মোট ৭ রাকাত মাগরিবের নামাজ।  অনেকেই নফল দুই রাকাত নামাজ আদায় করে না।  নফল নামাজ অতিরিক্ত নামাজ, এ নামাজ আদায় না করলেও গুন্নাহ হবে না। তবে নফল নামাজ আদায় করিলে সওয়াব লাভ করা যায়। কোনো ব্যক্তি মুসাফির অবস্থায় থাকলে শুধু ফরজ তিন রাকাত নামাজ আদায় করার বিধান আছে। 

  • ৩ রাকাত ফরজ নামাজ। 
  • ২ রাকাজ সুন্নত নামাজ। 
  • ২ রাকাত নফল নামাজ। 

মাগরিবের নামাজ পড়ার নিয়ম 

প্রথমে তিন রাকাত ফরজ নামাজ ইমামের নেতৃত্বে আদায় করতে হবে।  তিন রাকাত ফরজ নামাজের পর তিন রাকাত সুন্নত নামাজ আদায় করতে হবে। তারপর ৩ রাকাত নফল নামাজ আদায় করে হবে। নফল নিজের নামাজ, আদায় করলে সওয়াব লাভ করা যায়, তবে আদায় না করলেও গুন্নাহ হবে না।  মুসাফির ব্যক্তির জন্য শুধু ফরজ তিন রাকাত নামাজ আদায় করার বিধান আছে।  সুন্নত ২ রাকাত ও নফল ২ রাকাত আদায় না করলেও হবে। 

মাগরিবের তিন রাকাত ফরজ নামাজের নিয়ত

আল্লাহর উদ্দেশ্যে কিবলামুখী হয়ে এই ইমামের নেতৃত্বে  মাগরিবের ৩ রাকাত ফরজ নামাজ আদায় করিবার নিয়ত করিলাম , আল্লাহু আকবর।  

ইমামের নেতৃত্বে নামাজ আদায় করলে” ইমামের নেতৃত্বে” কথাটি উল্লেখ করতে হবে। একক ভাবে নামাজ আদায় করলে উল্লেখ করার প্রয়োজন নেই।

মাগরিবের দুই রাকাত সুন্নত নামাজের নিয়ত

আল্লাহর উদ্দেশ্যে কিবলামুখী হয়ে মাগরিবের ২ রাকাত  সুন্নত নামাজ আদায় করিবার নিয়ত করিলাম , আল্লাহু আকবর।  

মাগরিবের দুই রাকাত নফল নামাজের নিয়ত

আল্লাহর উদ্দেশ্যে কিবলামুখী হয়ে মাগরিবের ২ রাকাত নফল নামাজ আদায় করিবার নিয়ত করিলাম , আল্লাহু আকবর।  

মাগরিবের নামাজের ফজিলত

ওয়াক্ত নামাজ ফরজ এবং ৫ ওয়াক্ত নামাজের ফজিলত অনেক।  তবে ৫ ওয়াক্ত নামাজের প্রত্যেক ওয়াক্তের আবার বিশেষ কিছু ফজিলত রয়েছে। মাগরিবের নামাজেরও ফাজিল রয়েছে। 

আমাদের প্রিয়নবী (সা.) বলেন, ‘আমার উম্মত ততদিন কল্যাণের মধ্যে থাকবে অথবা মূল অবস্থায় থাকবে, যতদিন তারা মাগরিবের নামাজ আদায়ে তারকা উজ্জ্বল হওয়া পর্যন্ত বিলম্ব না করবে। (আবু দাউদ, হাদিস : ৪১৮)


আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত- আমাদের প্রিয় নবীজি (সা.) বলেছেন:- “যে ব্যক্তি সকাল এবং সন্ধ্যায় নামাজ আদায় করতে মসজিদে যায় এবং যতবার যায় আল্লাহ তায়ালা ততবারই তার জন্য জান্নাতের মধ্যে মেহমানদারির উপকরণ প্রস্তুত করেন।” (বুখারি, হাদিস : ৬২২)

উপরে বর্ণিত হাদিস  দুটি থেকে মাগরিবের নামাজের ফজিলত সম্পর্কে বুঝার বাকি থাকার কথা না। 

উপসংহার

এই দুনিয়ায় ক্ষণস্থায়ী।  পরেরকালের জীবন স্থায়ী। আখিরাতে হাশরের ময়দানে সবার আগে ব্যক্তির নামাজের হিসাব নেওয়া হবে।  তাই ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করার বিকল্প নেই।  আল্লাহ তা’য়ালার সবাইকে ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করার তৌফিক দান করুন।  আমিন। 

Leave a Comment