জনশুমারি ও গৃহগণনা 2023 ফলাফল

আসসালামু আলাইকুম সুপ্রিম পাঠক।  আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় “জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২”। বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা, মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা, নার্সিং ভর্তি পরীক্ষা ও চাকরি পরীক্ষা  সহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতা মুলক পরীক্ষায় সাধারণ জ্ঞান অংশে ” আদম শুমারী রিপোর্ট” থেকে প্রশ্ন আসতে দেখা যায়৷প্রায় ১১ বছর পর ২০২২ সালে বাংলাদেশে ৬ বারের মত “জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২” অনুষ্ঠিত হয়।  বিভিন্ন প্রতিযোগিতা মুলক পরীক্ষায় “জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২” আসার মত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গুলো তুলে ধরার চেষ্টা করলাম। আশা করি আপনারা উপকৃত হবেন।  

জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ ফলাফল

তথ্য সুত্র: উইকিপিডিয়া

জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ সাধারণ জ্ঞান

  • সর্বশেষ বা ৬ ষ্ঠ জনশুমারি ও গৃহগণনা হয় – ১৫-২১ জুন, ২০২২। 
  • জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ ফলাফল প্রকাশিত হয়- ২৭ জুলাই, ২০২২। 
  • জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ ফলাফল অনুযায়ী জনসংখ্যা – ১৬ কোটি ৫১ লাখ। 
  • নারী ও পুরুষের অনুপাত – ৯৮:১০০।
  • প্রতি বর্গকিলোমিটারে জনসংখ্যার ঘনত্ব – ১,১১৯ জন।
  • জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার – ১.২২%। 
  • স্বাক্ষরতার হার – ৭৪.৬৬%। 
  • জনসংখ্যা বৃদ্ধির সর্বাধিক হার – ঢাকা বিভাগে। 
  • জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার সর্বনিম্ন – বরিশাল বিভাগে।
  • জনসংখ্যায় বৃহত্তর সিটি করপোরেশন -ঢাকা।
  • জনসংখ্যায় ক্ষুদ্রতম সিটি কর্পোরেশন -বরিশাল। 
  • যে মন্ত্রণালয়ের অধীনে জনশুমারি অনুষ্ঠিত হয়- পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়। 
  • জনশুমারি পরিচালনা করে – বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)।
  • মত বারের মত গৃহীত গণনায় যুক্ত করা হয়- প্রবাসীদে। 
  • ১০ বছরের পরিবর্তে জনশুমারি অনুষ্ঠিত হবে -৫ বছর পর পর।  

ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ( জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২)

  • বাংলাদেশে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সংখ্যা -৫০টি।
  • মোট ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সংখ্যা – ১৬,৫০,১৫৯জন।
  • ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী মোট জনসংখ্যার – ০.৯৯%। 
  • ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মধ্যে সংখ্যায় সবচেয়ে বেশি -চাকমা।
  • ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মধ্যে সংখ্যায় সব চেয়ে কম- ভিল (৯৫ জন)। 
  • ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী বসবাসে শীর্ষ বিভাগ – চট্রগ্রাম। 
  • ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী বসবাসে শীর্ষ জেলা- রাঙামাটি। 
  • ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী বসবাসে সর্বনিম্ন বিভাগ- বরিশাল। 
  • ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী বসবাসে সর্বনিম্ন জেলা- লালমনিরহাট। 

জনশুমারি সম্পর্কিত বেসিক তথ্য 

  • জনশুমারি ও গৃহগণনার পুর্বনাম- আদমশুমারি ও গৃহগণনা। 
  • উপমহাদেশে প্রথম আদমশুমারী হয়-১৮৭২ সালে।
  • বাংলাদেশে প্রথম আদমশুমারী হয় -১৯৭৪ সালে। 
  • বাংলাদেশে এযাবৎ কালে জনশুমারি হয় – ৬ বার (সর্বশেষ ২০২২)। 

জনসংখ্যা তথ্যে ক্ষুদ্রতম ও বৃহত্তম 

জনসংখ্যায় ক্ষুদ্রতম ও বৃহত্তম বিভাগ জেলা
জনসংখ্যায় বৃহত্তম ঢাকা ঢাকা

জনসংখ্যায় ক্ষুদ্রতম
বরিশাল
বান্দরবান


< div class=”table-responsive”>

জনসংখ্যার ঘনত্ব বিভাগ জেলা
জনসংখ্যার ঘনত্ব বেশি ঢাকা ঢাকা
জনসংখ্যার ঘনত্ব বেশি বরিশাল রাঙামাটি


< div class=”table-responsive”>

সাক্ষরতার হার বিভাগ জেলা
সর্বাধিক ঢাকা পিরোজপুর
সর্বনিম্ন ময়মনসিংহ জামালপুর

জনশুমারির সাল ও জনসংখ্যা 

জনশুমারির সাল জনসংখ্যা
প্রথম ১৯৭৪ সালে ৭.১৪ কোটি
দ্বিতীয় ১৯৮১ সালে ৮.৭১ কোটি
তৃতীয় ১৯৯১ সালে ১০.৬৩ কোটি
৪র্থ ২০০১ সালে ১২.৪৩ কোটি
৫ম ২০১১ সালে ১৪.৯৭ কোটি
৬ ষ্ঠ ২০২২ সালে ১৬.৫১ কোটি

জনশুমারি সম্পর্কিত আলোচিত Key Words 

জনশুমারি ও গৃহগণনা 
জনশুমারি হচ্ছে একটি দেশ বা সীমানা অঙ্কিত অঞ্চলের সলক ব্যক্তির জন্য নিদিষ্ট সময়ে নিদিষ্ট বিষয় সম্পর্কিত সামাজিক ও অর্থনৈতিক তথ্য সংগ্রহ, সংকলন এবং প্রকাশের সার্বিক প্রক্রিয়া। 
সাক্ষরতা 
সাক্ষরতার হার নিরুপনে কমপক্ষে যেকোনো একটি ভাষায় পড়তে ও লিখতে পারেন এমন ব্যক্তিকে সাক্ষর হিসেবে গণ্য করা হয়।  
খানা 
খানা বলতে পরিবারের যে কয়জন সমস্য একউ চুলায় রান্না করা খাবার গ্রহণ করে তাকে বুঝায়।  কোন সদস্য যদি সংশ্লিষ্ট পরিবারে কমপক্ষে ৩ মাস অবস্থান করে থাকেন তবে তিনি খানার সদস্য বলে গণ্য হয়েছেন। 

তথ্য সুত্র: উইকিপিডিয়া

Leave a Comment