স্মার্ট বাংলাদেশ ২০৪১ | স্মার্ট বাংলাদেশের চারটি স্তর কি কি?

আসসালামু আলাইকুম সুপ্রিম পাঠক।  আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় ” স্মার্ট বাংলাদেশ ২০৪১”।স্মার্ট বাংলাদেশ হলো বাংলাদেশ সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে রুপান্তরের একটি পরিকল্পনা। বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা, মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা, নার্সিং  ভর্তি পরীক্ষা, বিসিএস পরীক্ষা ও চাকরি পরীক্ষাসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতা মুলক পরীক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ ” স্মার্ট বাংলাদেশ ২০৪১।  বিভিন্ন প্রতিযোগিতা মুলক পরীক্ষায় আসার মত গুরুত্বপুর্ণ তথ্য গুলো তুলে ধরা হলো।  

স্মার্ট বাংলাদেশ ২০৪১ | স্মার্ট বাংলাদেশের চারটি স্তর কি কি?


স্মার্ট বাংলাদেশ কি 

স্মার্ট বাংলাদেশ হলো বাংলাদেশ সরকারের একটি প্রতিশ্রুতি ও শ্লোগান যা ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ রুপান্তরের পরিকল্পনা। 

স্মার্ট বাংলাদেশ ২০৪১ সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান

  • ডিজিটাল বাংলাদেশের বর্তমান নাম- স্মার্ট বাংলাদেশ। 
  • স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা হবে- ২০৪১ সালের মধ্যে। 
  • প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার কথা বলেন – ১২ ডিসেম্বর, ২০২২। 
  • বাংলাদেশ সরকার “স্মার্ট বাংলাদেশ ২০৪১” গড়ার লক্ষ্যে গঠন করেছে – স্মার্ট বাংলাদেশ টাস্কফোর্স। 
  • স্মার্ট বাংলাদেশ টাস্কফোর্সের সদস্য – ৩০ জন।
  • স্মার্ট বাংলাদেশ টাস্কফোর্সের সভাপতি – প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 
  • স্মার্ট শব্দটি দেশ ও শহরের ক্ষেত্রে প্রথম ব্যবহার শুরু হয় – ভারতে স্মার্ট সিটি প্রকল্প নামে। 
  • স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার ভিত্তি কয়টি – ৪ টি।
  • মন্ত্রিসভায় ১২ ডিসেম্বর ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবসের পরিবর্তে স্মার্ট বাংলাদেশ দিবস পালনের সিদ্ধান্ত হয় কবে – ৭ আগস্ট, ২০২৩

স্মার্ট বাংলাদেশের চারটি স্তম্ভ

স্মার্ট সিটিজেন: একজন নাগরিক প্রযুক্তিগত জ্ঞানে পারদর্শী হবেন।  তাদের মধ্যে ক্যাশলেস পদ্ধতিতে অর্থনৈতিক লেনদেনের ক্ষেত্রে সক্ষমতা তৈরি হবে।  

স্মার্ট ইকোনমি: স্মার্ট ইকোনমির মুল কনসেপ্ট হলো ক্যাশলেস ট্রানজিশন বা টাকাবিহীন লেনদেন। 

স্মার্ট গভর্মেন্ট: স্মার্ট গভর্মেন্টের ধারণাটি তখনই স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরিতে ভুমিকা রাখবে যখন সরকার দেশের শান্তি শৃঙ্খলা বঝায় রাখতে সক্ষম হবে। 

স্মার্ট সোসাইটি: এই ধারণাটি স্মার্ট সিটিজেনের ধারণার বৃহৎ পরিসর। অর্থাৎ সমাজের মানুষ দৈনন্দিন জীবনাচার প্রযুক্তির উপর অভ্যস্ত হবে।  

স্মার্ট বাংলাদেশের চারটি স্তর কি কি?

উত্তর: ১.স্মার্ট সিটিজেন। ২.স্মার্ট ইকোনমি।  ৩.স্মার্ট গভর্নমেন্ট। ৪. স্মার্ট সোসাইটি। 

Smart Bangladesh কবে ঘোষণা করা হয়?

উত্তর : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১২ ডিসেম্বর, ২০২২ “ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস” উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের ভাষণে সর্বপ্রথম “স্মার্ট বাংলাদেশ” গড়ার কথা বলেন। 

স্মার্ট বাংলাদেশ দিবস কত তারিখ? 

উত্তর: ২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর সরকার “১২ ডিসেম্বর” কে “ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস ” পালনের ঘোষণা দেয়। ৭ আগস্ট, ২০২৩ মন্ত্রী পরিষদ “১২ ডিসেম্বর” কে ” ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস’ পালনের পরিবর্তে “স্মার্ট বাংলাদেশ পালনের ঘোষণা দেয়।  (সুত্র: সময় টিভি



Leave a Comment